
বিশাল রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়া জিম্বাবুয়ে দল ইনোসেন্ট কাইয়া এবং সিকান্দার রাজার ব্যাটে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দুজনের জুটি ইতোমধ্যে পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৭ রান। জয়ের জন্য তাদের আরও প্রয়োজন ১৭৭ রানের।
দলীয় ৬ রানেই দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান আর শরীফুল ইসলামের সৌজন্যে জিম্বাবুয়ের ২ উইকেটের পতন হয়। প্রথম ওভারের শেষ বলে রেজিস চাকাভাকে (২) বোল্ড করে শুরুটা করে মুস্তাফিজ। দ্বিতীয় ওভারে শরীফুলের বলে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হন তারিশাই মুশকান্দা (৪)। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা শুরু করেন ইনোসেন্ট কাইয়া এবং ওয়েসলি মাধভেরে। দুজনে গড়েন ৪২ রানের জুটি। ডাবলস নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে যান মাধভেরে (১৯)। উইকেটে আসেন অল-রাউন্ডার সিকান্দার রাজা। একপ্রান্ত আগলে রাখা ইনোসেন্ট কাইয়া ৬৬ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ উইকেটে ৩০৩ রানের বড় স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ফিফটি করেন প্রথম চার ব্যাটার। এর মাঝে লিটন কুমার দাস ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পেশিতে টান লাগায় ৮১* রানে অপরাজিত থেকেই তাকে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। সতর্ক শুরুর পর রানের গতি বাড়ান তামিম ইকবাল আর লিটন। সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে তামিম করেন ৮৮ বলে ৯ চারে ৬২ রান। এই ইনিংস দিয়েই তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান।
বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৯ রান। এরপর আরও দুই ব্যাটার পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস খেলেছেন। তাদের মাঝে চমকে দিয়েছেন এনামুল হক বিজয়। তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেই খেলেছেন ৬২ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৭৩ রানের চমৎকার ইনিংস। মিল্টন শুম্বাকে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মেরে ফিফটি পূরণ করেছেন ৪৮ বলে। এরপর দেখান আগ্রাসী ব্যাটিং। ইনিংসের শেষ দিকে ফিফটি করেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ৪৮ বলে ফিফটি করার পর ৫২* রানে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ২০* রানে।