
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ওয়ানডের লো স্কোরিং এক ম্যাচে তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ আশরাফুলদের হারিয়ে দিলেন তরুণ তৌহিদ হৃদয়-মাহেদি হাসানরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেটে মাত্র ১৯২ রান তুলতে সক্ষম হয় তামিম-আশরাফুলদের ইস্ট জোন। জবাবে ৪৫.৫ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাউথ জোন।
ইস্ট জোনের হয়ে খেলতে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ২৭ বল খেলে এক চারের সাহায্যে মাত্র ৯ রান করেন তিনি।
ভীষণ ধীর ইনিংস খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ আশরাফুল। ৫৭ বলে মাত্র ১৫ রান করেন তিনি, ছিল না কোনো বাউন্ডারির মার।
২১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার রনি তালকদার (৩) আর তামিমকে হারিয়ে বিপদে পড়ে ইস্ট জোন। এরপর আশরাফুলকে নিয়ে ৬১ রানের একটি জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস। কিন্তু আশরাফুল এতটাই ধীর ছিলেন যে এই জুটিতেও বিপদ এড়াতে পারেনি ইস্ট জোন।
ওভার কমে যাওয়ার চিন্তায় ইমরুল কায়েস মারতে গিয়ে আউট হন। ৯৭ বলে বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৬৯ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হন বাঁহাতি এই ব্যাটার। দলের সেরা ইনিংসটি তারই।
পরের দিকে আফিফ হোসেন ৪১ বলে ২৯, ইরফান শুক্কুর ৪৭ বলে ৩৩ আর সোহরাওয়ার্দি শুভ ১৯ বলে অপরাজিত ২২ রানের ইনিংসে দলকে ১৯২ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান ৪৪ রানে ৩টি আর নাহিদুল হাসান ১৭ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার মাহেদি হাসান আর নাসুম আহমেদের।
রান তাড়ায় নেমে অবশ্য ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ (৯) আর এনামুল হক বিজয়কে (১৫) হারিয়ে ফেলেছিল সাউথ জোনও। ১৪২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে একটা সময় বেশ চাপেও ছিল দলটি।
তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা সবাই টুকটাক রান পাওয়ায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সাউথ জোন। তিন নম্বরে নেমে ধীরগতির ইনিংস খেলেন মাশইকুর রহমান (৬০ বলে ২৭)। অধিনায়ক জাকির হাসানেরও স্ট্রাইকরেট ভালো ছিল না (৪৮ বলে ২৭)।
পরে তৌহিদ হৃদয়ের ৩৫ বলে ২৩, নাহিদুল ইসলামের ২৯ বলে ২৭ আর মাহেদি হাসানের ৫০ বলে এক চার আর ৩ ছক্কায় গড়া ৩৭ রানের হার না মানা ইনিংসে ২৫ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় সাউথ জোন।
ইস্ট জোনের পক্ষে আফিফ হোসেন ২৬ রানে আর নাইম হাসান ৩৫ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। ২৭ রানের সঙ্গে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সাউথ জোনের অলরাউন্ডার নাহিদুল ইসলাম।